ECB সম্প্রতি মনিটারি পলিসি মিটিং এ তেমন কোন সুসংবাদ প্রকাশ করতে পারেনি যার ফলে মার্কেটে ইউরো পতন লক্ষ্য করা গেছে। সম্প্রতি ECB প্রেসিডেন্ট দ্রাঘি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, তারা এখন কোন প্রকার সুদের হার বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছেন না, যার ফলে মার্কেট এখন ইউরো এর বিপরীতে যাওয়া শুরু করেছে।
মার্কেট এখন ইউরো এর সাথে নেতিবাচক আচরন শুরু করেছে যার মূল কারন ছিল সুদের হার বৃদ্ধির ব্যাপারে ECB এর কোন প্রকার পদক্ষেপ না নেওয়া। যদিওবা ২০১৯ সালে সুদের হার বৃদ্ধির একটা সম্ভাবনা রয়েছে তবে তার হার ৬৩% থেকে কমে ২৭% এ গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পতন অনেকটা গুরুতর হলেও পলিসিকারী ব্যাক্তিবর্গ আগামি অর্থনীতির উপর ভিত্তি করে পরিবর্তন আনতে পারেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
২০১৯ সালের আগে সুদের হার বৃদ্ধির তেমন কোন সম্ভাবনা না থাকায় স্বল্পমেয়াদীভাবে যেকোন অর্থনীতির ফলাফল ইউরোতে তেমন কোন প্রভাব ফেলবে না বলে আশা করা যাচ্ছে। উপরন্ত, আগামিতে যদি ইউরো এর অর্থনীতির ফলাফল যদি ইতিবাচক হয় তবে সুদের হার বৃদ্ধির চক্র আরো ঘনিয়ে আসতে পারে বলেও আশঙ্খা করা যাচ্ছে। অতএব, যদিওবা ইউরো এখন নেতিবাচক প্রভাবের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু এর মাঝেও ইউরো পক্ষে প্রাইস কিছুটা অগ্রগতি হতে দেখা যেতে পারে।
ECB সুদের হার না বৃদ্ধি করার ব্যাপারে সম্প্রতি জানালেও প্রকৃত পক্ষে ইউরো জোনের অর্থনীতির ব্যাপারে তেমন কোন প্রকাশ করেনি। অন্যদিকে দ্রাঘি শুধু ইউরোজোন কিভাবে এই নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্তি পাবে এই ব্যাপারে আলোকপাত করেছেন তবে এখন অর্থনীতির আবির্ভাব কতটুকু এই ব্যাপারে যেমন অর্থনীতির বাজারের অস্থিরতা এর পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু মন্তব্য করেননি।
অন্যদিকে মুদ্রাস্ফীতির ব্যাপারে সম্প্রতি ECB প্রেসিডেন্ট দ্রাঘি তেমন কোন মন্তব্য না করায় এতটুকু ধরে নেওয়া যাচ্ছে যে আগামিতে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। যদিওবা তেলের দাম বৃদ্ধির অনুপাতে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে গড়ে ১.৭% পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতি রাখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল তবে তা কতটুকু কার্যকর হবে তা এখন দেখার বিষয়। যদিওবা সম্প্রতি ডাটা অনুযায়ী ২০১৮ সালের মে মাসে ১.৯% পর্যন্ত উরধস্থর হতে দেখা যায়।
সকল নেতিবাচক প্রভাবের মধ্যেও ২০১৮ সালের প্রথম ৪ মাসে ইউরোজোনের বেতনের হার ১.৬% থেকে ১.৮% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ক্ষেত্রে আগামিতেও এই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে এবং বেকারত্বের হার হ্রাস পাওয়ার পূর্ণ আশঙ্খা রয়েছে। এমতাবস্থায় ইউরোজোনের কিছুটা শক্তি সঞ্চয় করতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
যদিওবা সম্প্রতি প্রকাশিত ট্রেড ডাটা তেমন কোন ভালো ফলাফল প্রকাশ করতে পারেনি যার ফলে GDP তে তেমন কোন ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি যা আগামিতে ইউরোজোনের দুর্বল অবস্থানে রাখতে পারে বলে আশঙ্খা করা যাচ্ছে।
আজই EUR পেয়ারগুলতে ট্রেড করতে – এখানে ক্লিক করুন।
{{cta(‘8f9c01e0-e15e-4fd6-a8c7-224af439e962’)}}