আজ সকালে রিসার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার স্টেট্মেন্ট এবং ক্যাশ রেট যাকে আমরা সুদের হার হিসেবে জানি তা প্রকাশিত হয়। সুদের হার যদিওবা ১.৫০% এ অপরিবর্তিত রয়েছে তবে তা অস্ট্রেলিয়ান ডলারের জন্যে তেমন কোন ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে এখনো পর্যন্ত দেখা যায়নি।
অস্ট্রেলিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর ফিলিপ আজ আরবিএ স্টেট্মেন্টে কিছু বক্তব্য রাখেন যার মধ্যে তিনি অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান অর্থনীতিক অবস্থার কথা তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, গত বছর থেকে বিশ্ব অর্থনীতি কিছুটা চাঙ্গা রয়েছে এবং বিশ্বের এমন কিছু দেশ রয়েছে যা সাধারন প্রবণতার তুলনায় আরো ভালো করতে দেখা গিয়েছে, সাথে তাদের বেকারত্বের হারকে তুলনামুলকভাবে নিম্নগামী করতে সক্ষম হয়েছে। চায়নার অর্থনীতি ভালোই শক্তিশালী হয়েছে যার মূল কারন হিসেবে ধরা যাচ্ছে তাদের বিশেষ দৃষ্টান্তের প্রবণতা যা অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি এবং আগামিতে তা বলিষ্ঠ করার ইচ্ছা। বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির মান কিছুটা নিম্নগামী রয়েছে যা যদিওবা কিছু দেশে এখনো তেমনভাবে নিম্নগামী হয়নি তবুও এর বৃদ্ধি লেবার মার্কেটের জন্যে খুবই জরুরী বলে বিবেচনা করা যাচ্ছে।
সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া এমন কিছু বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির সংবাদ যেমন ফেডেরাল রেট হাইক যা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হার বৃদ্ধি, যা সরাসরি অস্ট্রেলিয়ান অর্থনীতিতে ভালোই প্রভাব ফেলেছে। অন্যদিকে অর্থনীতির বাজারে প্রভাব পরে মুলত ইউরোজোনের কিছু রাজনৈতিক কারনে।
গত কয়েক মাসে তেল এবং কিছু মুখ্য ধাতু এর দাম বৃদ্ধি পেতে দেখা গিয়েছে। এর ফলে আগামিতে অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যিক শর্তাবলি কিছুটা নিম্নমুখী হলেও তা আগামি সময়ে একটি উচ্চতর অবস্থায় থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আগামিতে অস্ট্রেলিয়ান GDP ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালে অন্তরে প্রায় ০.৩% বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। এই উন্নতির মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখতে যাচ্ছে লেবার মার্কেট যার নতুন সদস্য হিসেবে বিশেষ ভুমিকা রাখছে মহিলা এবং প্রবিনেরা। পাশাপাশি স্থায়ী কাঠামো এর বৃদ্ধি অস্ট্রেলিয়ান অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করে তুলছে এবং আগামিতে রপ্তানি আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
বেকারত্বের হার এর মধ্যে প্রায় ৫% এর দিকে অবস্থান করছে তবে তা আগামিতে আরো কমতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে যা অর্থনীতিকে আগামিতে আরো শক্তিশালী করে তোলার এক মূল অস্ত্র হিসেবে কাজ করতে দেখা যেতে পারে। যদিওবা বেতনের হার তেমনটা বৃদ্ধি পায়নি যার এক মূল হোতা হিসেবে বিবেচনা করা যাচ্ছে মুদ্রাস্ফিতিকে।
২০১৮ সালের মধ্যে Consumer Price Index (CPI) ২% এর কিছুটা উপরে অবস্থান করতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে যা আগামিতে অস্ট্রেলিয়ান অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলতে সাহায্য করবে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ান আবাসন বাজার কিছুটা ধীরগতি রয়েছে যার কারনে পুরো অস্ট্রেলিয়ায় আবাসনের দাম কমতে দেখা গিয়েছে যার মধ্যে কিছু এলাকায় সরবনিম্ন রেকর্ড পরিমান প্রাইস নিম্নবর্তী হতে দেখা গিয়েছে।
এমতাবস্থায় কম সুদের হার অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিকে সাহায্য করে যাচ্ছে যার মধ্য দিয়ে বেকারত্বের হার নিম্নগামী এবং মুদ্রাস্ফীতিকে আশানুরূপ রাখাই এখন অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতির জন্যে মূল উদ্দেশ্য তবে এই অগ্রগামী কিছু ধীরগতি সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সবকিছু বিবেচনা করার পর রিসার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার বোর্ড এমন এক সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে মনিটারি পলিসিতে এখন তেমন কোন পরিবর্তন করা হবে না কারন বর্তমান মনিটারি পলিসি তাদের সকল লক্ষ্য পুরন করতে সক্ষম হয়েছে এবং এর ইতিবাচক প্রভাব আগামিতে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিতে এক বড় ধরনের ভুমিকা রাখতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।