সম্প্রতি প্রকাশিত যুক্তরাজ্যে বেকারত্বের হারের ক্রমশই কমতে দেখা গিয়েছে যার মানে দাড়ায় চাকুরীর হার বেড়েছে এবং আরো বেশি লোক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
যদিওবা চাকুরীর হার বাড়ার কারনে অর্থনীতি কিছুটা শক্তিশালী হওয়ার আশঙ্খা রয়েছে তবে বেতনের হারের তেমনভাবে বৃদ্ধি হয়নি। সম্প্রতি পাওয়া তথ্য মতে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড অর্থনীতির এবং বেতনের হারের চাকাকে ধীরগতিতে রাখতেই কল্যাণকর মনে করছেন বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী। তবে বেকারত্বের হারের এমন নিম্নবর্তী অপরিবর্তিত অবস্থান গত ৪৩ বছরের তুলনায় সবচেয়ে নিম্নস্থরে রয়েছে, এবং এটি একটি কৃতিত্ব বটে।
Source: tradingeconomics.com
যুক্তরাজ্যের অফিস অব ন্যাশনাল স্টাটিস্টিক্স এর তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালের প্রথম ৩ মাসে যুক্তরাজ্যে চাকুরীর হার ১৯৭ হাজার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে যা চাকুরীর বাজারে ২০১৫ সালের পর প্রথম এবং সবচেয়ে বড় আকারের বৃদ্ধি বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আরো তথ্য অনুযায়ী গড় আয়ের বোনাস বিহীন বাৎসরিক পরিমান প্রায় ২.৯% পর্যন্ত গত ৩ মাসে বৃদ্ধি পায় যার মধ্যে ফেব্রুয়ারিতেই ২.৮% বৃদ্ধি পেয়েছিল। মুদ্রাস্ফীতি সমন্বয় ক্ষেত্রে ০.৪% পর্যন্ত বেতনের হার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
বোনাস সহিত গত ৩ মাসে ২.৬% পর্যন্ত বেতনের হার ধীরগতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে। যদিওবা এই ধীরগতির সময়ে ফেব্রুয়ারি মাসে ২.৮% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায় তবে মার্চ মাসে প্রতি ঘন্টার উৎপাদন প্রায় ০.৫% কমে যাওয়ায় গত ৩ মাসের হার কিছুটা নিম্নবর্তী হয়।
যদিওবা গত ১০ বছর ধরে যুক্তরাজ্য অর্থনীতিক মন্দার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তা সত্তেও বেতনের মান অনেকটুকু স্থির রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। Matt Hughes, ONS এর সিনিয়র স্টাটিসিয়ান উল্লেখ করেন “১৯৭৫ সালের তুলনায় বেকারত্বের হার এবং চাকুরীর হার বৃদ্ধির এই ফলাফল আসলেই চমকপ্রদ এবং যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির জন্যে ইতিবাচক।”
চাকুরীর হার ইতিমধ্যেই বাৎসরিকভাবে ৭৫.৬% পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী হতে দেখা যাচ্ছে।
সম্প্রতি সুদের হারের মান অপরিবর্তিত রাখার সংবাদের পর চাকুরীর হারের সংবাদ প্রকাশিত হয়। যদিওবা কিছু ভোট সুদের হারের বৃদ্ধির পক্ষে ছিল তবে বেশিরভাগ পলিসিমেকাররা মনে করেন সুদের হার যেমন রয়েছে তাতেই আগামিতে অগ্রগামি হওয়া সম্ভব। যদিওবা আগামি আগস্ট মাসে সুদের হার বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে তবে তা নির্ভর করছে আগস্ট মাস পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর।
ব্যাংক অব ইংলান্ডের পলিসিমেকারদের মতে বেতনের হার মুদ্রাস্ফীতিকে অতিক্রম করার ব্যাপারটা অনেকটুকু ইতিবাচক যার কারন হিসেবে ধরা হয়েছে গত ৩ মাসে ০.১% হারে GDP এর বৃদ্ধি। যদিওবা আগামি কোয়ার্টারের প্রথম ২ মাস অর্থনীতি কিছুটা দুর্বল থাকতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। অন্যদিকে এই বছর ব্যাংক অব ইংলান্ডের পূর্বাভাস মতে Consumer Price ২.৫% পর্যন্ত নিম্নবর্তী হতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। যদিওবা অনেক ব্যাপার রয়েছে আগামিতে সুদের হার বৃদ্ধি হবে কি হবে না, তবে BREXIT এখনো সুদের হার নির্ণয়ের ব্যাপারে এক বিরাট ভুমিকা রাখতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।
{{cta(‘8f9c01e0-e15e-4fd6-a8c7-224af439e962’)}}