ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার এই সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ০.৫০% থেকে ০.৭৫% পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে তবে এই বৃদ্ধি পিছনে কি কারন থাকতে পারে এই ব্যাপারে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এর গভর্নর এবং তার সহকর্মীরা কি চিন্তা করছেন তা এখন দেখার বিষয়।
Source: Forex Factory
বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন এই কোয়ার্টারে ০.৭৫% পর্যন্ত সুদের হার বৃদ্ধি হতে পারে যে ফলাফল প্রকাশিত হতে যাচ্ছে এই সপ্তাহের বৃহস্পতিবারে। ২০০৮-২০০৯ সালের অর্থনৈতিক মন্দার পর এই বৃদ্ধি ব্রিটেইনের জন্য দ্বিতীয়। এই বিলম্ব ব্রেক্সিটের কারনে হয়েছে বলে আপাতত বিবেচনা করা হচ্ছে যার কারনে পুরো অর্থনীতি অনেক আংশে পিছিয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করা হচ্ছে।
মে মাসে পলিসি মেকাররা বলেন, আগামি ৩ বছরে সুদের হার একদম কম হলেও ৩ বার বৃদ্ধি পাওয়া উচিত তা না হলে দেশের অর্থনীতি এবং এর মুদ্রাস্ফিতি স্বাভাবিক থাকবে না। এই ভাষ্যের পর থেকে ব্রিটিশ পাউন্ড কিছুটা নিম্নগামী হতে দেখা যায় যা বর্তমানে অপরিবর্তিত রয়েছে। আজই GBP পেয়ারে ট্রেড করে দ্রুত মুনাফা উত্তলন করতে – এখানে ক্লিক করুন।
অন্যদিকে রিটেইল সেলস (Retail Sales) এই বছরের শুরু দিকে কিছুটা নিম্নগামী থাকলেও তা এখন ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। পাশাপাশি চাকুরীর হার বৃদ্ধি এবং বেকারত্বের হার প্রায় ৪% কমে যাওয়া যা ১৯৭০ সালের তুলনায় সবচেয়ে নিম্নবর্তী অবস্থানে আছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের আশানুরূপ ব্রিটেইনের অর্থনীতি প্রাইস ০.৪% হারে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা এখন প্রায় হাতের নাগালে।
তেলের দাম বাড়ার কারনে পাউন্ড এখন ১০ মাসের নিম্নবর্তী স্থানে রয়েছে যার দরুন আগামিতে মুদ্রাস্ফিতি বৃদ্ধি পাওয়ার এক প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা করছেন বিশ্লেষকরা।
Consumer Price এর বৃদ্ধি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের এর ২% এর পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে ৪.২% এ বর্তমানে অবস্থান করছে। যদিওবা সেই ঊর্ধ্বস্থর পর্যায়ে বেশিদিন না থাকলেও আগামিতে এর থেকে বেশি নিম্নবর্তীও হতে দেখা যাবে না বলে আশা করা যাচ্ছে।
অতিরিক্ত কম সুদের হারের কারনে নানা রকমভাবে ব্রিটেইনে গত ২০১৭ সালে আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি করা হয়েছে বলে জানা গেছে এবং এমন অবস্থা যদি চলতে থাকে তবে তা আগামিতে অর্থনীতির জন্য এক ভয়ংকর রূপ নিতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। পূর্বের ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের পলিসি মেকার এন্ড্রু সেন্টান্স এর মতে “সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা মানেই অর্থনীতিকে ধরে রাখা নয়, বরং অতিরিক্ত সময়ের জন্যে অপরিবর্তিত সুদের হার আগামিতে অর্থনীতির মন্দাভাবের জন্য মূল কারন হয়ে দাড়াতে পারে।”
অন্যদিকে, সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার কারন হিসেবে বেক্সিটকেও দায়ী করা হচ্ছে যা ২০১৬ সালে পাউন্ডের উপর অনেক বড় ধরনের চাপ প্রয়োগ করে। যদিওবা মার্চ মাসে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেইনের বের হয়ে যাওয়ার কথা ছিল তবে আগামির সুসম্পর্কের কথা চিন্তা করে তা নানা রকম কারন দেখিয়ে বিলম্ব করা হয়। যদি এর মধ্যে কোন প্রকার বিরূপ সমস্যা দেখা দেয় তবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড অনেক বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে বলে আশঙ্খা করা যাচ্ছে।
পাশাপাশি ট্রেড যুদ্ধের কারনেও ব্রিটেইনের অর্থনীতি সম্প্রতি কিছুটা চাপের মুখে রয়েছে। যদিওবা মুলত ট্যারিফের যুদ্ধ চীন এবং ইউরোপের মধ্যে চলছে তবে তার কারনে ব্রিটেইনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফিতিতে বিরাট ভুমিকা রাখতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সেন্টান্স এর মতে “সবসময় বিশ্ব অর্থনীতিতে কিছু না কিছু লেগেই থাকবে তবে এর মধ্যে নিজের অবস্থান দৃঢ় করাই হচ্ছে মূল চ্যালেঞ্জ এবং ট্রেড যুদ্ধ ব্রিটেইনের অগ্রগতিতে তেমন কোন বাধা হয়ে উঠবে না।”
ব্রিটেইনের আবাসন ক্ষেত্র যা পূর্বের তিন দশক ধরে ঊর্ধ্বমুখী ছিল তা এখন নিম্নমুখী হওয়ার প্রবণতা দেখাচ্ছে যা গত ৭ মাসে সম্প্রতি প্রথম বারের মত সবচেয়ে নিম্নবর্তী হয়।
এমতাবস্থায় ব্রিটিশ পাউন্ড আজ যদি তার সুদের হার বৃদ্ধি করে তাও অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় পিছিয়ে থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আগামিতে যার প্রভাব ব্রিটিশ পাউন্ডের অগ্রগামিকে বাধাগ্রস্থ করে তোলার আশঙ্খা রয়েছে।
আজই GBP পেয়ারগুলোতে সল্প স্প্রেডে এবং সীমাহীন লেভারেজ নিয়ে ট্রেড করতে – এখানে ক্লিক করুন।
{{cta(‘8f9c01e0-e15e-4fd6-a8c7-224af439e962’)}}