...
  1. Exness News
  2. Forex News
  3. ফরেক্স ট্রেডিং এ মুনাফা বৃদ্ধির জন্য কিভাবে রিস্ক রিওয়ার্ড অনুপাত ব্যবহার করবেন?
Forex News

ফরেক্স ট্রেডিং এ মুনাফা বৃদ্ধির জন্য কিভাবে রিস্ক রিওয়ার্ড অনুপাত ব্যবহার করবেন?

August 23, 2018
BY Emma Richards

বেশিরভাগ ফরেক্স ট্রেডাররা লাভজনক কৌশল খুঁজে বের করতে এতটাই ব্যস্ত থাকে যে, তারা রিস্ক রিওয়ার্ডের গুরুত্বের কথা ভুলে যান। ফলস্বরূপ অতিরিক্ত রিটার্ন পাওয়ার আশায় তারা ট্রেড জয়ের শতকরা হারের উপর বেশি প্রাধান্য দেই। কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা। কারণ ৮০-৯০% ট্রেড জয়ের হার পাওয়ার তুলনায় মার্জিত রিস্ক রিওয়ার্ড ব্যবহার করে কাঙ্ক্ষিত মুনাফা অর্জন করা অনেক সহজ।
অভিজ্ঞ ট্রেডাররা উচ্চ জয় পাওয়ার প্রচেষ্টা অনেকটা অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করেন। বিশ্বের অন্যতম সফল বিনিয়োগকারী জর্জ সোরোস বলেন, আপনি সঠিক কিংবা ভুল তা গুরুত্বপূর্ণ নয়, আসল বিষয় হলো আপনি যখন জিতেন তখন কতটুকু জিতেন এবং যখন হারেন তখন কতটা হারান। এটি হলো পরিমিত রিস্ক রিওয়ার্ড ব্যবহারের সারাংশ। একজন ট্রেডারের উচিত এমন ট্রেড সেট আপ বাছাই করা, যার জন্য রিস্ক নেওয়া সার্থক। রিস্কের সার্থকতা নির্ণয়ের একটি দুর্দান্ত উপায় হচ্ছে আর-মাল্টিপালস (R-multiples)

আর-মাল্টিপালস ব্যাখ্যাঃ শুনতে একটু জটিল মনে হলেও আর-মাল্টিপালস ধারণাটি বেশ সহজ এবং কার্যকর। আর (R) দ্বারা বুঝানো হয় রিস্ক বা ঝুঁকিমাল্টিপালস দ্বারা বুঝানো হয় আমরা কতোটা রিস্ক নিচ্ছি তার একক। এই বিষয়টি মনে রাখবেন আপনি যতই রিস্ক নেন না কেন তার একককে ১-আর হিসেবে ধরা হবে। যদি বলা হয় আপনি ১ঃ৩ নিবেন, এটা দ্বারা বুঝানো হয় আপনার রিস্কের তুলনায় সম্ভাব্য লাভের পরিমাপ ৩ গুন। উদাহরণস্বরূপ, যেই ট্রেড সেট আপের স্টপ লস ১০০ পিপ এবং মুনাফার মার্জিন ২০০ পিপ তাকে ২-আর সেট আপ বলে। অনুরূপভাবে একটি সেট আপের স্টপ লস যদি ৫০ পিপ হয় এবং লক্ষ্যমাত্রা ২৫০ পিপ, তখন তাকে ৫-আর সেট আপ হিসেবে ধরা হয়। অন্যভাবে বুঝাতে গেলে, যদি আপনার ১-আর ক্ষতি ১০০ ডলার হয় এবং আপনি ৩০০ ডলার মুনাফা পান তাহলে আপনি ১ঃ৩ মুনাফা করেছেন।

উপরের গণনার মাধ্যমে বুঝা যাচ্ছে আর-মাল্টিপালস বেশ সহজ একটি ধারণা। এর মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত করতে পারেন যে আপনি যে ট্রেড সেট আপটি নিতে চাচ্ছেন তার রিস্কর মূল্য কতো?

অসামঞ্জস্য বুঝাঃ অনেক ট্রেডারের মধ্যে একটি সাধারণ ভুল ধারণা লক্ষ্য করা যায়। তারা মনে করেন ট্রেডিং এর রিস্ক এক মাত্রিক। অর্থাৎ রিস্ক কেবমাত্র একাউন্ট ব্যালেন্সের ১% অথবা ২% দিয়ে সংজ্ঞায়িত করা যায়। ঝুঁকি কখনো এক মাত্রিক হয় না। ঝুঁকির অন্য পক্ষ যেটি সবাই উপেক্ষিত করে সেটিই মূলত অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেটি হলো একটি ট্রেড সেট আপে আপনার সম্ভাব্য মুনাফার মাত্রা। ফরেক্সে রিস্ক আপনার ট্রেডিং একাউন্ট এবং যেকোনো অবস্থানে আপনার মুনাফার পরিমাণের সাথে সম্পর্কিত। ১% অথবা ২% রিস্ক জানার জন্য সর্বপ্রথমে আপনার জানা লাগবে আপনার একাউন্টের আকার। আকার না জেনে ১% রিস্ক কথাটি সম্পূর্ণ অর্থহীন এবং এর মাধ্যমে আপনি কতটুকু লাভ করছেন তাও বুঝা যায় না। তাই ট্রেডিং এর অসামঞ্জস্যতা বুঝতে হবে। ট্রেডিং এর রিস্ক এর সাথে দুটি পক্ষ জড়িত, রিস্ক এবং রিটার্ন।

সামঞ্জস্য ট্রেডের অর্থ হচ্ছে আপনার সম্ভাব্য লসের তুলনায় আপনার সম্ভাব্য লাভের পরিমাণ বেশি হওয়া। আপনি নিশ্চয় ১০০ ডলার রিস্ক নিয়ে ২০০ অথবা ৩০০ ডলার আশা করবেন এবং এটি আশা করাই বিচক্ষণ চিন্তা। একজন ট্রেডারের উচিত অধিক ট্রেড করার চেয়ে সামঞ্জস্য ট্রেডের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া, যেখনে আর মাল্টিপালস বেশি হবে।

সামঞ্জস্য ট্রেডিং এর সাথে সম্ভাব্য ফলাফলের মিশ্রণঃ সামঞ্জস্য ফরেক্স ট্রেডিং করার জন্য সকল ট্রেডারদের একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, ট্রেডিং এ উচ্চ জয় হার আবশ্যিক নয়। আপনি যদি সফলভাবে ট্রেড করতে চান উচ্চ সম্ভাবনাময় সেট আপ এর সাথে সামঞ্জস্য ধারণা বজাই রাখতে হবে। এখন আমরা আলোচনা করবো কিভাবে সামঞ্জস্য ট্রেডিং এর সাথে ভাল ফলাফল মিশ্রণ করা যায়।

ট্রেডিং এর মুখ্য লেভেল জানুনঃ রিস্কের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রিটার্ন পেতে চাইলে একজন ট্রেডারকে অবশ্যই মুখ্য সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স লেভেল সনাক্ত করা উচিত। এই দুটি লেভেল সনাক্ত না করতে পারলে আপনি স্টপ লস এবং মুনাফার মার্জিন নির্ধারণ করতে পারবেন না। ফাঁকা চার্টে ট্রেডিং করলে আপনি আপনি কেবলমাত্র ট্রেডিং এর সুগোগ দেখতে পারবেন। সেই সুযোগ থেকে কতো রিস্কে কি পরিমাণ লাভ পেতে পারেন তা জানা সম্ভব না। ট্রেডিং এর জন্য মুখ্য লেভেলগুলো অনেকটা ঘরের ভিত্তির মতো যার উপর আপনার ট্রেডিং ফলাফল অনেকাংশে নির্ভর করবে। আপনি একবার সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স লেভেল নির্ধারণ করতে পারলে খুব সহজে রিস্কের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মুনাফা করতে পারবেন।

মার্কেটের গতিবেগ নির্ধারণঃ ট্রেডিং এর সুযোগ সৃষ্টি হলে তার সম্ভাবনা কতোটুকু এটি জানাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য মার্কেটের গতিবেগ অর্থাৎ ট্রেন্ডের শক্তি নির্ণয় করা উচিত। মার্কেটের গতিবেগ নির্ধারণ করা কঠিন বিষয় না। যদি মার্কেট ট্রেন্ড ঊর্ধ্বমুখী হয়, তবে এর মানে হচ্ছে মার্কেটে বড় ট্রেডাররা ক্রয় করছে। অন্যদিকে, যদি ট্রেন্ড নিম্নমুখী হয়, তবে এর অর্থ হল বাংক এবং অন্যান্য বড় ট্রেডার সেল অর্ডার দিচ্ছে বেশি। যদিও ট্রেন্ড বিশ্লেষণ অতোটাও সহজ কাজ না। নিয়মিত অধ্যবসায়ের মাধ্যমে একজন ট্রেডার সহজে ট্রেন্ড শক্তি বিশ্লেষণ করতে পারেন। সম্পূর্ণ বিনামুল্যে ট্রেড অনুশীলন করতে – এখানে ক্লিক করুন।

ট্রেড নেওয়ার পূর্বেই এক্সিট পয়েন্ট নির্ধারণ করুনঃ এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। একজন ট্রেডার নির্ভুলভাবে ট্রেডিং রিস্ক গণনা করতে পারেন না, কিন্তু তিনি কি পরিমাণে লস নিতে সক্ষম তা অতি সহজে নির্ধারণ করতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী নিজের মুনাফা অর্থাৎ আর-মাল্টিপালস বাছাই করতে পারেন। আর-মাল্টিপালস বাছায়ের জন্যও পূর্ব থেকে রিস্ক মূল্যায়ন করা লাগে। তাই বলা যাই রিস্ক নির্ধারণ এবং আর-মাল্টিপালস বাছাই উভয়ই একে অপরের পরিপূরক। তাই প্রতিটি ট্রেড নেওয়ার পূর্বে একজন ট্রেডারের উচিত দুটি এক্সিট পয়েন্ট নিশ্চিত করা- একটি হচ্ছে সম্ভাব্য ক্ষতির জন্য এবং আরেকটি হচ্ছে লাভের জন্য।

একজন ট্রেডার আসলে কখনো জানতে পারেন না যে মার্কেটে আসলে কি হতে যাচ্ছে এবং এটি করা তার কাজও না। একজন ট্রেডারের কাজ হচ্ছে মার্কেটে সম্ভাব্য কি হতে যাচ্ছে তা অনুমান করা এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া। উপরে আমরা যেই পদ্ধতিগুলো নিতে আলোচনা করলাম, তা সঠিকভাবে ট্রেডিং এ ব্যবহার করতে পারলে ক্ষতির অনুপাতে বাস্তবিক ফলাফল এবং অনুকূল লাভের আশা করতে পারি।

আজই রিস্ক রিওয়ার্ড রেশিও অনুযায়ী ট্রেড শুরু করতে – এখানে ক্লিক করুন।

alternate text for image
আপনার ট্রেডিং দক্ষতায় আত্মবিশ্বাসী? একটি অ্যাকাউন্ট খুলুন এবং Exness দিয়ে ট্রেড শুরু করুন
OPEN A DEMO ACCOUNT