ব্যাংক অব ক্যানাডার গভর্নর স্টিফেন পলজ বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ট্রেড যুদ্ধ এবং ঊর্ধ্বতম সুদের হারের সাথে সামাঞ্জশ্য রাখার লড়াইয়ে কিছুটা চাপের মুখে রয়েছে। ক্যানাডার অর্থনীতির বর্তমান নিম্নমুখী আচরন ব্যাংক অব ক্যানাডার আগামি পদক্ষেপকে আরো পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্রেড পলিসির ব্যাপারে আলোকপাত করতে গিয়ে ক্যানাডিয়ান মনিটারি পলিসি আশানুরূপ বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটে। যদিওবা এই ব্যাপারে G7 মিটিং এ আলোচনা হয় তবে তা এখন পর্যন্ত কোন প্রকার সুফল বয়ে আনতে পারেনি।
Source: Bank of Canada, Trading Economics
জুলাই এর ১১ তারিখের আগে সুদের হার বাড়ানোর ব্যাপারে পলজ এর কাছে দুটি সুযোগ রয়েছে এবং মাস খানিক আগের কথাসরূপ যদি পলজ আগায় তবে আগামি দুই মিটিং এ সুদের হার বৃদ্ধি সুযোগ রয়েছে বলে আশা করা যাচ্ছে। যদিওবা অনেকে মনে করছেন মে মাসের সুদের হার বৃদ্ধি ব্যাপারে যে কথা বলা হয়েছিল তা ভুল ছিল তবে বিশ্ব অর্থনীতির সাথে টিকে থাকতে হলে মনিটারি পলিসি নিয়ে খুব দ্রুত একটি পদক্ষেপ নিতে হবে বলে আশা করছেন বিনিয়োগকারিরা। আজই ক্যানাডিয়ান ডলারে সর্বচ্চো লেভারেজ নিয়ে বিনিয়োগ করতে – এখানে ক্লিক করুন।
যদিওবা কিছু বিশ্লেষক মনে করেন সুদের হার বৃদ্ধি ব্যাপারে পলজ যদিওবা একটু পিছপা রয়েছে তবে তার ক্যানাডিয়ান অর্থনীতির ব্যাপারে রঙ্গিন সপ্ন দেখানো উচিৎ হয়নি তাতে মার্কেটের চাঞ্চল্যকর অবস্থা অনেকটুকু বৃদ্ধি পেয়েছে।
অর্থনীতির বাজারে জুলাই এর সুদের হার বৃদ্ধি নিয়ে ৫০-৫০ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে যার মধ্যে অর্ধেক মানুষ মনে করেন সুদের হার বৃদ্ধি হোক এবং আর অর্ধেক মানুষ মনে করেন সুদের হার বৃদ্ধি না হোক বা অপরিবর্তিত থাকুক। সুদের হারের সাথে মুদ্রাস্ফীতি অতপ্রতভাবে জরিত যার ফলে আগামিতে সুদের হার বাড়ার সাথে সাথে অর্থনীতিতে এর এক বিরাট প্রভাব পরবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এমন সময় পলজ সুদের হার নিয়ে নাড়াচাড়া না করলেই ক্যানাডিয়ান অর্থনীতির জন্যে মঙ্গল হবে বলে আশঙ্খা করা যাচ্ছে তাতে কিছুটা সময়ের জন্যে ক্যানাডিয়ান ডলার দুর্বল হয়ে পরলেও দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল ইতিবাচক হতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় পলজ এই ব্যাপারে কোন প্রকার বক্তব্য না করাকে উত্তম হিসেবে বিবেচনা করা যাচ্ছে।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টিল এবং এলুমিনিয়াম আমদানি ক্ষেত্রে ক্যানাডা, মেক্সিকো এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের উপরে যে ট্যারিফ ধরা হয়েছে তা জুন মাসেই তার প্রভাব দেখিয়েছে এবং জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে এই ট্যারিফ পুরোদমে চালু হওয়ার পর আরো নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এর ফলে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি এবং চাকুরীর হারের উপর বিশেষ প্রভাব পরবে বলে আশঙ্খা করা যাচ্ছে যার ফলে আগামিতে মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধি নিয়েও নানা রকম প্রশ্ন উঠবে বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
যদিওবা আগামিতে সুদের হার বাড়বে নাকি কমবে এই ব্যাপারে এখনো তেমন কিছু বলা যাচ্ছে না তবে মে মাসের ৩০ তারিখ বলা কথার উপরে যদি পলজ আমল করে সুদের হার আগামিতে বাড়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
এমতাবস্থায় ক্যানাডিয়ান ডলার সাময়িকভাবে কিছুটা শক্তিশালী হয়ে উঠলেও আগামিতে তা আরো দুর্বল হতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। মুলত মার্কিন ডলারের বিপরীতে এমনটি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি রয়েছে।
আজই ক্যানাডিয়ান ডলার পেয়ারে ট্রেড করতে – এখানে ক্লিক করুন।
{{cta(‘8f9c01e0-e15e-4fd6-a8c7-224af439e962’)}}