EURUSD সম্প্রতি ফেডেরাল ফান্ড রেট (সুদের হার) বৃদ্ধি করে ১.৭৫% থেকে ২.০০% পর্যন্ত নিয়ে যায় যার দরুন মার্কেটে এর পর বিস্তর প্রভাব দেখা যায়। এই ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর দিন ইউরো এর বিপরীতে মার্কিন ডলারকে অনেক শক্তিশালী হতে দেখা যায়।
গত বৃহস্পতিবার বিয়ারিশ চাপ অনেক বেশি থাকা সত্তেও তা শুক্রবার অব্দি সেই প্রবণতা ধরে রাখতে পারেনি ফলে ১.১৫৫০ এলাকা থেকে প্রাইসকে আবার লাফিয়ে উঠতে দেখা যায় যা দৈনিকভাবে ১.১৬০০ এর কাছাকাছি এসে বন্ধ হয়। আজ যদিওবা প্রাইস কিছুটা নিম্নবর্তী গ্যাপ নিয়ে শুরু হয় তবে তা ১.১৫৫০ এর উপরে অবস্থান করতে সক্ষম হয় তাতে বোঝা যায় প্রাইস আগামিতে কিছুটা সময়ের জন্য ঊর্ধ্বগামী হয়ে ১.১৭২০ এলাকা পর্যন্ত আগামিতে যেতে পারে। যদিওবা এই ঊর্ধ্বমুখী চাপ ক্ষণস্থায়ী হবে বলে আশা করা যাচ্ছে কারন মার্কেটের মূল প্রবণতা এখনো বিয়ারিশ এবং ১.১৭২০ পর্যন্ত ঊর্ধ্বস্থর হওয়ার পর প্রাইসকে আবারো নিম্নগামী হতে দেখা যেতে পারে বলে আশঙ্খা করা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় প্রাইস যতদিন পর্যন্ত ১.১৭২০ এর নিচে দৈনিকভাবে অবস্থান করছে তা কিছুটা সময়ের জন্যে বুলিশ চাপের মুখে পড়লেও আগামিতে তা আবারো নিম্নগামী হওয়ার প্রবল আশঙ্খা রয়েছে।
আজই EURUSD তে ট্রেড করতে – এখানে ক্লিক করুন।
স্বল্পমেয়াদী চার্ট H1 অনুযায়ী প্রাইস এখন কিছুটা চাঞ্চল্যকর অবস্থায় রয়েছে যার ফলে কিছুটা কারেকশন আগামিতে দেখা যেতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। যদিওবা দৈনিক চার্ট অনুযায়ী প্রাইস ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি তবে ১.১৫৫০ লেভেলকে অতিক্রম করে নিম্নগামী হতে দেখা গেলেই মার্কেটের প্রেক্ষাপট বদলাতে পারে বলে আশঙ্খা করা যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার ঘটে যাওয়া প্রবল বিয়ারিশ চাপের পর এতটুকু বিশ্লেষণ করা যায় যে আগামিতে প্রাইস আরো নিম্নগামী হবে কিন্তু তা কিছুটা রিট্রেস করার প্রবণতা কতটুকু আছে তা এখনো বলা বাহুল্য তবে কিছুটা রিট্রেস হয়ে নিম্নগামী হলে তা আগামিতে আরো প্রবল বিয়ারিশ রূপ নিতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে যা প্রাইসকে ১.১০ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে।
আজই মার্কিন ডলারে ট্রেড করতে – এখানে ক্লিক করুন।