বিশ্বজুড়ে যখন প্রায় দেশ চিন্তা করছেন তাদের সুদের হার এবং মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির ব্যাপারে, ঠিক তখন ব্যাংক অব জাপান চিন্তা করছেন তাদের মুদ্রাস্ফীতির হার কমানোর ব্যাপারে। ব্যাংক অব জাপান সম্প্রতি এই মাসে মুদ্রাস্ফীতি কমানো ব্যাপারে উৎসাহ দেখাবেন বলে আশঙ্খা করা যাচ্ছে।
Source: Trading Economics
ব্যাংক অব জাপানের মতে এই ফিস্কাল বছর থেকে ২০২০ এর মার্চ মাস পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতি নিম্নমুখী রাখার ব্যাপারে অনেকটা সুনিশ্চিত কারন তারা মনে করেন তাদের মুদ্রা এখন অনেক দুর্বল অবস্থায় রয়েছে এবং এমতাবস্থায় যদি তারা মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির ব্যাপারে চিন্তা করে যেমন অন্যান্য দেশগুলো করছে বা অনেকেই করতে যাচ্ছে, তবে আগামিতে জাপান অর্থনীতি হুমকির মুখে পরার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রায় ৫ বছর পর ব্যাংক অব জাপানের গভর্নর হারুশিকো কুরোদা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রনের হাল ধরেছেন যা ২% এ অবধারিত রাখা তার মূল উদ্দেশ্য থাকবে। বিশ্লেষকদের মতে, ব্যাংক অব জাপানের মূল উদ্দেশ্য থাকবে কন্সুমার প্রাইস এই বছরে এপ্রিল মাসের ১.৩% থেকে ১.০% এ নিয়ে যাওয়া এবং আগামি বছর ১.৫% থেকে ১.৮% এর কাছাকাছি রাখার চেষ্টা করা। তবে কন্সুমার প্রাইসিং নিয়ে এমন চিন্তাভাবনা যদি আগামিতে গঠন হয় তবে এই ব্যাপারে খুব সুক্ষ লক্ষ্য রাখতে হবে ব্যাংক অব জাপানকে নাহয় যেকোন সময় তা অর্থনীতির উপর বিরাট প্রভাব আনতে পারে।
সম্প্রতি এক প্রেস কনফারেন্সে কুরোদা বলেন, জাপানের অর্থনীতি অগ্রগতির দিকে যাচ্ছে যদিওবা কিছু গ্লোবাল চালেঞ্জের কারনে কিছুটা বিরূপ সিদ্ধান্তে যেতে হচ্ছে তবে অর্থনীতির অবস্থা তুলনামুলক ভাবে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। এমতাবস্থায় ব্যাংক অব জাপানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এই অগ্রগামী ধরে রাখা। দীর্ঘ সময় ধরে সোয়াপ বিহীন ট্রেড করতে – এখানে ক্লিক করুন।
অন্যদিকে জাপানের ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান সমুহ আশা করছেন যেনো কন্সুমার প্রাইস বৃদ্ধি পাক এবং তা আগামি ১ বছরে যেনো ০.৯% পর্যন্ত ঊর্ধ্বস্থর হয় যা ব্যাংক অব জাপানের আশানুরূপ কিছুটা বেশি। কিছু মাস আগে জাপানের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানগুলো আশা করছিল ০.৮% এর তবে এখন তা আরো কিছুটা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে রাখছে।
ব্যাংক অব জাপান সম্প্রতি একটি ব্যাবসায়ীদের নিয়ে একটা জরিপ করেন যাতে তারা ফলাফল হিসেবে প্রায় ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানরা আগামি ৩ বছরে ১.১% হারে কন্সুমার প্রাইস বৃদ্ধি করাতে চান এবং তা প্রতি বছরেই ১.১% হারে বাড়াতে ইচ্ছুক।
যদিওবা এরুপ জরিপের পর ব্যাংক অব জাপান ব্যাবসায়ীদের সাথে একমত হতে পারনি তবে এই সিদ্ধান্ত অর্থনীতির জন্য কতটুকু ইতিবাচক হবে তা এখনো বলা বাহুল্য। এমতাবস্থায় জাপানের ইয়েন কিছুটা দুর্বল অবস্থায় মার্কেটে দেখা গেলেও তা এখন ব্যাংক অব জাপানের জন্য তেমন কোন গুরুত্ব আপাতত রাখছে না যার ফলে আগামিতে জাপানের ইয়েন আরো দুর্বল হতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আজই জাপানিজ ইয়েন পেয়ারগুলোতে সল্প স্পেডে ট্রেড করতে – এখানে ক্লিক করুন।
{{cta(‘8f9c01e0-e15e-4fd6-a8c7-224af439e962’)}}