জাপানিজ ইয়েন সম্প্রতি মার্কিন ডলার এবং অন্যান্য মেজর মুদ্রার উপর কিছুটা চাপ প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়েছে যা আগামিতেও ইয়েনের শক্তির পরিচয় দিবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ব্যাংক অব জাপান আজ পলিসি রেট প্রকাশ করে যা পূর্বের ন্যায় আশানুরূপ -০.১০% এ অপরিবর্তিত রয়েছে।
ব্যাংক অব জাপানের অনুযায়ী, জাপানের অর্থনীতি ২০১৮ সালে আশানুরূপ গতির চেয়েও আরো ভালো ফলাফল দেখাতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ধীরগতি হলেও জাপানের অর্থনীতি তার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ধীরগতি হওয়ার মূল কারন হিসেবে ব্যাংক অব জাপান স্থায়ী ব্যাবসায়িক বিনিয়োগের সল্পতা এবং ট্যাক্স বাড়ানোর ব্যাপারকে দায়ী করা হচ্ছে।
অন্যদিকে CPI (Consumer Price Index) বছরের পর বছর ধরে অগ্রগতি দেখিয়ে যাচ্ছে কিন্তু তা লেবার মার্কেটের তুলনায় তেমন কোন প্রকার বিকাশ দেখাতে পারেনি। এমতাবস্থায় মধ্যম থেকে দীর্ঘমেয়াদী মুদ্রাস্ফিতির বৃদ্ধি তেমনভাবে আশানুরূপ হবে না বলে মন্তব্য করেন ব্যাংক অব জাপান।
Figure: CPI of All items less Fresh Foods. Source: Bank of Japan Economic Outlook Report
এখন পর্যন্ত ২০১৮ সাল জাপানের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক রয়েছে যাতে অভ্যন্তরীণ চাহিদা, কর্পোরেট এবং গ্রিহস্থলি সংক্রান্ত আয় এবং ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ছে যার দরুন অর্থনীতি কিছুটা হলেও চাঙ্গাভাব রাখতে সক্ষম হয়। স্থায়ী ব্যাবসায়িক বিনিয়োগ বর্তমানে কিছুতা নিম্নবর্তী থাকলেও আগামিতে অলিম্পিক গেমস এর ব্যাপারে চিন্তা করে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। ব্যাবসায়িক বিনিয়োগের পাশাপাশি আগামিতে সর্বজনীন বিনিয়োগও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
রপ্তানি খাতে জাপান যেভাবে সর্বদা এগিয়ে ছিল তা অব্যাহত থাকবে বলে এবং আগামিতে তা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্খা করা হচ্ছে। সল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী সুদের হার নেগেটিভ থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে কারন ব্যাংক Quantitive and Qualititve Monetary Easing করার ব্যাপারে বর্তমানে চিন্তা করছে।
অন্যান্য অর্থনীতিক ইন্ডিকেটরের তুলনায় মুদ্রাস্ফিতি তেমন না বাড়ায় জাপানের অর্থনীতি বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কারন খুব সহজে বেতন এবং মুল্য বাড়ার কোন প্রকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এমতাবস্থায় প্রাইস সল্প মজুরী এবং মুল্যের তেমন কোন পরিবর্তন না হওয়ায় জাপানের অর্থনীতিতে কিছুটা নিম্নচাপ অনুভব করা যেতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। JPY পেয়ারে সল্প স্প্রেডে ট্রেড করে মুনাফা দ্রুত উত্তলন করতে – এখানে ক্লিক করুন।
ব্যাংক অব জাপান এখন জাপানের অর্থনীতিকে আবারো চাঙ্গা করতে মজুরীর মান এবং মুল্য এবং এই ঊর্ধ্বমুখী সহনশীলতা বাড়ানোর ব্যাপারে চিন্তা করছে। এমতাবস্থায় আগামিতে জাপানে পন্য এবং সেবার মান বাড়তে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে তবে এর আগে মজুরী বৃদ্ধি করা অতিব জরুরী তা না হলে জাপানের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস পাবে যা অর্থনীতিকে স্বল্পমেয়াদীভাবে শক্তিশালী করলেও আগামিতে খুব বড় ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতে হবে।
ব্যাংক অব জাপান Consumer Price Index ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে ২% পর্যন্ত রাখার চেষ্টা করছে যা আগামির বড় ধরনের যেকোন রকম অর্থনীতিক ধাক্কা সামলানোর জন্য যথেষ্ট বলে আপাতত বিবেচনা করা হচ্ছে।
সবকিছুর মাঝেও ঝুকিটা কিন্তু থেকেই যায় তাই ২০১৮ সালের সকল প্রকার ঝুকির মোকাবেলা করার জন্য যা কিছু দরকার তা হাতের কাছেই আছে বলে মন্তব্য করেন ব্যাংক অব জাপানের কর্মকর্তাবৃন্দ। যদিওবা ২০১৯ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত অর্থনীতির ইতিবাচক প্রভাবের আশা করা হচ্ছে তবে ২০১৯ সালে যাওয়া আগ পর্যন্ত জাপানের অর্থনীতি কিছুটা ঝুকির সম্মুখীনও হতে পারে বলে আশঙ্খা করা যাচ্ছে।
এমতাবস্থায় জাপানিজ ইয়েন অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় কিছুটা শক্তিশালী হতে পারে কারন ব্যাংক অব জাপানের মূল বক্তব্য ইতিবাচক ছিল এবং তা জাপানের অর্থনীতি এবং মুদ্রার মান বৃদ্ধি করতে সহায়ক হতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আজই জাপানিজ ইয়েন মুদ্রার পেয়ারে সীমাহীন লেভারেজ নিয়ে ট্রেড করতে – এখানে ক্লিক করুন।
{{cta(‘8f9c01e0-e15e-4fd6-a8c7-224af439e962’)}}