অস্ট্রেলিয়ান ডলার সম্প্রতি কিছুটা দুর্বল অবস্থানে রয়েছে যার দরুন অস্ট্রেলিয়ান রিসার্ভ/কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন তাদের অর্থনীতির ব্যাপারে নানা রকম পলিসি এবং উদ্বেগ নেওয়ার চিন্তা করছেন। গত ২০১৮ এর জানুয়ারি মাস থেকেই অস্ট্রেলিয়ান ডলারের পতন শুরু হয় যার মূল কারন হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে চাকুরীর হার এর নিম্নবর্তী আচরনকে।
আজ ডেপুটি গভর্নর ডিবেলে সরাসরি ভিডিও তে হংকং এর ISDA (International Swaps and Derivatives Association) ফোরাম এ অস্ট্রেলিয়ার সুদের মান সংশোধন নিয়ে তার বক্তব্য পেশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন “ সুদের মান সংশোধন করে দেশের অর্থনীতিকে সুন্দরভাবে সচল রাখা সম্ভব এবং অস্ট্রেলিয়ার রিসার্ভ ব্যাংক এই ব্যাপারে খুবি ইতিবাচক ভাব প্রকাশ করেছে।”
ডিবেলে তার বক্তব্যে LIBOR (The London Inter-Bank Offer Rate) এবং BBSW (Bank Bill Swap Rate) এর কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে FSB (Financial Stability Board) এবং OSSG (Official Sector Steering Group) তিনটি ধারায় পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছেঃ
১। লেনদেনের হার বাড়িয়ে IBOR (Inter-Bank Offer Rate) কে শক্তিশালী করে তোলার চেষ্টা এবং পরিচালনার মান বৃদ্ধি করা।
২। ঝুকিবিহিন সুদের হার নির্ণয় এবং IBOR এর বদলে অন্যান্য ডেরিভেটিভ ব্যাবহারের জন্যে উৎসাহিত করা।
৩। আগামিতে যদি কোন কারনে IBOR এর অবনতি হয় তবে অর্থনীতিক ভারসম্য যেনো বজায় থাকে।
LIBOR দ্বারা বিশ্বের প্রধান মুদ্রা যেমন মার্কিন ডলার এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল সুদের হারের মান নির্ণয় করা হয়। যদিওবা LIBOR এর ব্যাপারে FCA (Financial Conduct Authority) গত বছর কিছু প্রশ্ন তোলে তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের LIBOR প্যানেল তাদের আশ্বস্ত করেছেন ২০২১ সাল পর্যন্ত LIBOR তার কাজ করে যাবে।
অস্ট্রেলিয়ান ডলারের মূল মান নির্ণয় করে BBSW। তবে অস্ট্রেলিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং অস্ট্রেলিয়ান সিকুরিটি এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশন (ASIC) অস্ট্রেলিয়ার মুদ্রামান কে বলিষ্ঠ করার চেষ্টায় থাকে। সম্প্রতি লোকাল মার্কেটের লেনদেন কম থাকায় BBSW এর নতুন পন্থা অনুযায়ী এখন দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসার অনুপাত বাহিরের লেনদেনের ভিত্তিতে নির্ধারণ করার চেষ্টা করছে।
সর্বশেষে ডিবেলে সুদের হারের মান নির্ণয়ে যে সিদ্ধান্ত নেন তার মধ্যে রয়েছেঃ
১। LIBOR এর দীর্ঘায়ু আশা করা যাচ্ছে তবে দীর্ঘমেয়াদীভাবে কাজ করলে যে সকল সমস্যার সমাধান হবে তা নয় তবে কিছু অগ্রগতি দেখা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
২। আগামিতে BBSW তে আরো বেশি লেনদেন হওয়ার আশঙ্খা রয়েছে যা BBSW কে আগামিতে আরো দীর্ঘায়ু এবং মান উন্নয়ন করতে সহযোগিতা করবে।
৩। ব্যাবহারকারি বা ভোক্তারাই মত জানাবে অর্থনীতির চুক্তির মান নির্ণয়ের জন্যে ঝুকিমুক্ত মান নির্ধারণ ভালো হবে নাকি আমানত জাতীয় মান।
এমতাবস্থায় অস্ট্রেলিয়ান ডলার নিয়ে এতটুকু বলা যায় যে আগামিতে অস্ট্রেলিয়ান ডলার আরো কিছু সময় ধরে নিম্নমুখী থাকতে পারে কারন অস্ট্রেলিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী কাজ এখনো চলছে যা দীর্ঘমেয়াদীভাবে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে বলে আশঙ্খা করা যাচ্ছে। তবে এই সপ্তাহের বৃহস্পতিবার প্রকাশ হতে যাওয়া চাকুরি এবং বেকারত্বের হার অস্ট্রেলিয়ান ডলারের আগামি সময়ের অর্জনের ব্যাপারে বড় মাপের ভুমিকা রাখতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।