অস্ট্রেলিয়ান ডলার গত সপ্তাহ থেকে অনেকটা পতনের মুখে রয়েছে। মার্কিন ডলারের বিপরিতে গত টানা ৩ দিনে প্রায় ১৮০+ পিপ্সের পতন হয়েছে যা আগামিতে আরো প্রসারিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আজ যদিওবা মার্কেটের চাপ একটু ভিন্নধর্মী কারন আজ সকালে অস্ট্রেলিয়ার কনজিউমার প্রাইস ইন্ডেক্স (সিপিআই) এবং ট্রিমড সিপিআই রিপোর্ট প্রকাশিত হয় যাতে কিছুটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সিপিইয়াই হচ্ছে দেশের ক্রেতাদের পন্য এবং সেবা ক্রয়ের পরিবর্তনের সমষ্টি। সাধারনত সিপিআই এর মান পূর্বাভাস থেকে যত বেশি আসবে তা সেই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য তত ভালো হবে।
২০১৮ সালের প্রথম চার মাসিক সিপিআই রিপোর্ট গতবারের তুলনায় কিছুটা কমতে দেখা গিয়েছে। যা গতবার ০.৬% এ ছিল তা আজ প্রকাশ পেয়েছে ০.৪% এ। যদিওবা পূর্বাভাস ছিল ০.৫% হওয়ার তবে ক্রেতাদের কম ক্রয় ক্ষমতার কারনে তা আরো কম আকারে প্রকাশিত হয়। অস্ট্রেলিয়ান বুয়েরু অব স্টেটিস্টিক্স এর অনুযায়ী পূর্ণ সিপিআই ০.৬% এর থেকে কমে যাওয়ার মূল কারন ধরা হচ্ছে কিছু বৈশিষ্ট্যকে যার একটি ছক নিচে উল্লেখ করা হলো।
সুত্রঃ- অস্ট্রেলিয়ান বুয়েরু অব স্টেটিস্টিক্স ওয়েবসাইট
কিছু ক্ষেত্রে লক্ষ করার মত পন্যের ও সেবার দাম বেড়েছে তার মধ্যে রয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষা যা দাম প্রায় ৩.৩% শতাংশ বেড়েছে, গ্যাস এবং অন্যান্য জ্বালানির দাম বেড়েছে প্রায় ৬.০% শতাংশ, ফারমাসিউটিকাল পন্যের দাম বেড়েছে প্রায় ৫.৬% শতাংশ, ভেজিটেবলের দাম বেড়েছে প্রায় ৩.৭% শতাংশ এবং মেডিকেল ও হাসপাতাল সেবার দাম বেড়েছে প্রায় ১.৫% শতাংশ।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক পর্যটনের দাম কমেছে প্রায় -২.৪% শতাংশ, নানা রকম মিডিয়া পন্য ও সেবার দাম কমেছে -৬.১% শতাংশ এবং ফার্নিচারের দাম কমেছে ২.৮% শতাংশ।
সিপিআই কিছুটা কমতে দেখা গেলেও ট্রিমড সিপিআই আশানুরূপ প্রকাশিত হয় ০.৪% থেকে কিছুটা বেড়ে ০.৫% এ। যদিওবা ২০১২ সালের ১.৫% এর তুলনায় এই বছরের প্রথম সিপিআই তেমন প্রগতি দেখাতে সক্ষম হয়নি তবে গত ১২ মাসের তুলনায় প্রায় ১.৯% শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সুত্রঃ অস্ট্রেলিয়ান বুয়েরু অব স্টেটিস্টিক্স ওয়েবসাইট
আজ মিশ্র সিপিআই রিপোর্টের প্রকাশের পর অস্ট্রেলিয়ান ডলারের কিছুটা চাপ দেখা যাচ্ছে যা কিছুটা সময়ের জন্যে এই মুদ্রাকে সস্তির নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় দিবে।
গত তিন দিনের তুলনামুলকভাবে আজ অস্ট্রেলিয়ান ডলারের দিকে মার্কেট কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী তবে এই চাপ কতটুকু সময়ের জন্যে ধরে রাখতে পারবে তা এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে কারন এই সপ্তাহে মার্কিন ডলার এবং ইউরো এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খবর রয়েছে যা মার্কেট ভাবপ্রবণতায় কিছুটা পরিবর্তন আনতে পারে বলে আশঙ্খা করা যাচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ান ডলার এর এই পতনরোধের পূর্ণ লাভ অর্জন করতে আজই ফরেক্স ট্রেডিং শুরু করতে – এখানে ক্লিক করুন