অস্ট্রেলিয়ান ডলার সম্প্রতি কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যার পরিধি দিন দিন বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে। যদিওবা সম্প্রতি প্রকাশিত ক্যাশ রেট যা সাধারনত অস্ট্রেলিয়ান সুদের হার হিসেবে ধরা হয় তা ১.৫০% এ অপরিবর্তিত রয়েছে তবে অন্যান্য অর্থনীতির সাথে বর্তমান গ্লোবাল চ্যালেঞ্জে রুখে দাঁড়ানোর মত অবস্থান ইতিমধ্যেই তৈরি করে নিয়েছে।
Source: Forex Factory
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মনিটারি পলিসি মিটিং মিনিটস এ অস্ট্রেলিয়ান অর্থনীতির কিছু ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয় যার কারনে মার্কেট সেন্টমেন্ট এখন অস্ট্রেলিয়ান ডলারের দিকে রয়েছে বলে অনুমান করা যাচ্ছে।
সম্প্রতি মিটিং এ, অস্ট্রেলিয়ার GDP এর ব্যাপারে আলোকপাত করা হয় যাতে মার্চ মাস পর্যন্ত বাৎসরিকভাবে ৩.১% অগ্রগতি দেখা গিয়েছে যা আশানুরূপ থেকে বেশি বলে উল্লেখ করা হয়। ত্রৈমাসিক বৃদ্ধি হার প্রায় ১ শতাংশ যা গত তিন মাস আগে ব্যাংকের করা প্রত্যাশা থেকেও বেশি। অন্যদিকে, নন-ফার্ম GDP প্রায় মার্চ কোয়ার্টার পর্যন্ত প্রায় ৩.৬% বৃদ্ধি পেয়েছে যখন স্বদেশী চাহিদা তার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অবধারিত রাখতে সক্ষম হয়। অস্ট্রেলিয়ান ডলার পেয়ারে সীমাহীন লেভারেজ নিয়ে ট্রেড করে নিজের লাভের পরিধি বাড়াতে – এখানে ক্লিক করুন।
দৈনিক ব্যবহার যোগ্য পন্য খরচ দৈনিক ব্যবহার যোগ্য সেবার তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে যা রিটেইল সেলস এর মান বৃদ্ধি করে মুলগত ব্যাবসায়িক অবস্থানকে শক্তিশালী রাখতে সক্ষম হয়েছে। পাশপাশি ২০১২ সালের তুলনায় চাকুরীর হার ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পেতে দেখা গিয়েছে তবে এই অবস্থায় বেতনের হার অপরিবর্তিত রয়েছে যা অনেকটা স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন রিসার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার মেম্বারগন।
আবাসন ক্ষেত্রে ২০১৬ সালের শেষের দিকে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেলেও বর্তমানে নিম্নগামী হতে দেখা যাচ্ছে। প্রথমত সিডনিতে গত বছর থেকে আবাসনের দাম প্রায় ৫% গড়ে নিম্নগামী হতে দেখা যায় যা মূল শিকার হয়েছে দামী আবাসনগুলো তবে কম দামি আবাসন গুলোতে তেমন চোখে পড়ার মত কিছু লক্ষ্য করা যায়নি।
মার্চ কোয়ার্টারে রপ্তানি ক্ষেত্রের পরিমান বাড়তে দেখা গিয়েছে যার মধ্যে LNG এবং লোহা রপ্তানি লক্ষ্য করা মত ছিল। যদিওবা কয়লা রপ্তানি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে আবহাওয়া ইতিবাচক না হওয়ার কারনে তবে তা রপ্তানি খাতে তেমন কোন সমস্যা সৃষ্টি করেনি বলে জানা গেছে।
রিসার্ভ ব্যাংকের মেম্বাররা আরো উল্লখে করেন, আন্তর্জাতিক বাজারের কিছু ব্যাবসায়িক ঝুকি থাকলেও অস্ট্রেলিয়ান অর্থনীতির বাজার এখনো চাঙ্গা রয়েছে। অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের মনিটারি পলিসি নিয়ে নানা পদক্ষেপ নিলেও তার তেমন কোন প্রভাব অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিতে এখনো পড়তে দেখা যায়নি যার কারন হিসেবে নেওয়া হয়েছে ১.৫০% এ অপরিবর্তিত থাকা সুদের হার যার কারনে প্রায় ব্যাবসা লাভবান হতে পেরেছে বলে মন্তব্য করা হয়।
যদিওবা সুদের হার আপাতত অপরিবর্তিত রয়েছে তবে আগামিতে তা কোন প্রকার কমার সম্ভাবনা নেই বরং আগামিতে যদি কোন প্রকার পরিবর্তন হয় তবে তা বৃদ্ধির দিকে হবে বলে জানান রিসার্ভ ব্যাংকের মেম্বারগন। পাশপাশি বেকারত্বের হার হ্রাস এবং মুদ্রাস্ফীতি আশানুরূপ থাকায় আগামিতে মনিটারি পলিসি নিয়ে নাড়াচাড়া করার তাদের তেমন কোন ইচ্ছে নেই।
এই সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ান Employment Change এবং Unemployment Rate এর রিপোর্ট প্রকাশিত হতে যাচ্ছে যার প্রত্যাশা ইতিবাচক এবং যদি ফলাফলও ইতিবাচক হয় তবে আগামিতে অস্ট্রেলিয়ান ডলার আরো অগ্রগামী হতে দেখা যেতে পারে। এমতাবস্থায় অস্ট্রেলিয়ান ডলার আগামিতে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠার সম্ভাবনা প্রবল যার দরুন অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় অস্ট্রেলিয়ান ডলারের অগ্রগতি লক্ষ্যনীয় হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আজই অস্ট্রেলিয়ান ডলার পেয়ারে সল্প স্প্রেডে ট্রেড করে লাভবান হতে – এখানে ক্লিক করুন।
{{cta(‘8f9c01e0-e15e-4fd6-a8c7-224af439e962’)}}